আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। (সূরা আলে ইমরান ১৯) সব পয়গম্বরের দ্বীন ছিল এক ও অভিন্ন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নির্ধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নুহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইবরাহিম, মুসা, ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করো এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না (সূরা আশ-শুরা : ১৩)। কিন্তু এ শ্রেষ্ঠ দ্বীনের ক্ষতি সাধনে সদা তৎপর বাতিল সব ধর্মের বিশ্বাসীগণ। আবার এ ধর্মে বিশ্বাসী কিছু ব্যক্তি নিজ ধর্মের বিরুদ্ধে কথা ও কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। তাদের কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। বাহ্যিকভাবে ইসলামের কথা বললেও অন্তরে রয়েছে কপটতা।
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। যথা : ১. যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ২. যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে ও ৩. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে (বুখারি- ২৬৮২, মুসলিম- ১/২৫)।
তবে অন্য বর্ণনায় রয়েছে মুনাফিকের আলামত চারটি। চতুর্থটি হলো- ঝগড়া করলে গালাগালি করে। কুরআন মাজিদের বিভিন্ন স্থানে মুনাফিকের পরিচয় বর্ণনা করা হয়েছে। একটি সূরার নামও রয়েছে সূরা আল-মুনাফিকুন।
পাঠকের মতামত